সুশ্রী মহিলারা বিস্মিত হয় আমার রহস্যটা কি ভেবে। আমার নেই কোন আকর্ষণ কিংবা শারিরীক সৌষ্ঠব। যেমন থাকে ফ্যাশন মডেলদের, কিন্তু যখন ওদের শোনাই আমার গল্প, ওরা ভাবে আমি বুঝি বানিয়ে বলছি। আমি বলি, সবই তো আমার নাগালের ভেতর, আমার পশ্চাদের আকার আমার পা ফেলার ভঙ্গি, আমার ঠোঁটের বাঁক। কারণ আমি এক নারী বিস্ময়করভাবে। বিস্ময়কর নারী, সে তো আমিই। আমি যখন কোন ঘরে ঢুকি ঠিক যেমনভাবে আমাকে ঢুকতে দেখতে চান কিংবা কোন পুরুষের দিকে এগোই, তারা সবাই উঠে দাঁড়ায় কিংবা হাঁটু ভেঙে সৌজন্য দেখায়, কিন্তু তার পরই ভনভন ছেঁকে ধরে একসময় ঠিক এক ঝাঁক মৌমাছি যেমন। আমি ভাবি, বোধ হয় আমার চোখের ভেতরের আগুন, কিংবা আমার সুন্দর দাঁতের ঝিলিক, অথবা আমার নিতম্বের স্পন্দন, কিংবা আমার পায়ের ছন্দ, এসব মিলিয়ে বিস্ময়কর নারী আমি। বিস্ময়কর নারী সে তো আমিই। পুরুষরা বিস্ময়ে হতবাক আমার ভেতরের আমাকে দেখে। অথচ সেটাকে ছুঁতে তারা অক্ষম, আমর গভীরের সেই অলৌকিকতাকে। আমি যখন তাদের কাছে উম্মোচন করতে চাই আমার অন্তরের অতলকে, তখনও তাদের দৃষ্টিগোচর হয় না সেই অতল। আমি বলি, রহস্যটা আমার দুষ্টু গ্রীবার ভাঁজে, আমার হাসির রৌদ্রকরোজ্বলে, আমার নিশ্বাসের উঠানামায়, যা দিয়ে গড়া আমার একান্ত গভীর-গভীরতর শৈলী। আমি এক নারী, বিস্ময়রভাবে। বিস্ময়কর নারী, সে তো আমিই। এখন নিশ্চয় সবাই বুঝতে পারছেন আমি মাথা কেন নোয়াই না। আমার কন্ঠস্বর অযথা উচ্চমার্গে ওঠে না, কিংবা অকারণে হই না অস্থির, কথা বলি না কঠিন স্বরভঙ্গীতে। আমাকে পাশ দিয়ে যেতে দেখলে কেন আপনারা অযথা প্রগলভ, বুঝি না। আমি ভাবি, আমার চলার শব্দ, আমার চুলের বিন্যাস, আমার কোমল করতল, আমার যত্নের আলতো স্পর্শ, আপনাদের সবারই ভীষণ ভীষণ প্রয়োজন। কারণ আমি এক নারী বিস্ময়করভাবে। বিস্ময়কর নারী, সে তো আমিই।